গাজায় বিমান থেকে দেওয়া হবে ত্রাণ /

সতর্ক করল সাহায্য সংস্থাগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৫
শেয়ার :
সতর্ক করল সাহায্য সংস্থাগুলো

আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার ভোরে জানিয়েছে যে, তারা গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিয়েছে। তবে এভাবে ত্রাণ দেওয়াকে সমর্থন করছে না সাহায্য সংস্থাগুলো।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান আগামী দিনে বিমান থেকে সাহায্য ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার বলেছেন যে, ব্রিটিশ সরকার বিমানের মাধ্যমে গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য যা কিছু সম্ভব করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

তবে আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির সিয়ারান ডোনেলি বলেছেন, এভাবে বিমান থেকে ত্রাণ দিলে প্রয়োজনীয় সাহায্যের পরিমাণ বা মান কখনই প্রদান করা যাবে না।

স্থলপথ দিয়ে গাজায় সাহায্য প্রবেশে ব্যর্থতার কারণেই মূলত বিমান থেকে ত্রাণ পাঠানোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা উনআরওয়া’র প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি আগেই বলেছিলেন, বিমান থেকে ত্রাণ ব্যয়বহুল, অকার্যকর এবং ক্ষুধার্ত বেসামরিক নাগরিকদেরও হত্যার ভিন্ন কৌশল।

লাজ্জারিনি বলেন, জর্ডান এবং মিশরে ৬ হাজার ট্রাকের সমপরিমাণ ত্রাণ রয়েছে, যারা গাজায় প্রবেশের জন্য সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, অবরোধ তুলে নেওয়ার, গেট খোলার এবং নিরাপদ চলাচল ও অভাবী মানুষদের কাছে মর্যাদাপূর্ণ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।

তিনি লেখেন, সহায়তা পৌঁছে দেওয়া অনেক সহজ, আরও কার্যকর, দ্রুত, সস্তা এবং নিরাপদ। এটি গাজার জনগণের জন্য আরও মর্যাদাপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ১০০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠী উপত্যকায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

এদিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার অপুষ্টির কারণে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, যার ফলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যায় ৮৫ জন শিশুও রয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, গাজার তিনজনের মধ্যে একজন কয়েকদিন ধরে খাবার পাচ্ছে না এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। যাকে তারা মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ বলে বর্ণনা করেছে।