বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নতুন একটি পেশাদার সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)’ আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ‘২৪-এর জুলাই বিপ্লব’-এর শহীদ ওসমানের পিতা আবদুর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাসকে আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনকে সদস্যসচিব করে ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান জাতীয় চেতনায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। এই আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে পুনর্গঠন করবে বলে আমরা আশাবাদী। এই প্রেক্ষাপটে ইউটিএল একটি পেশাদার শিক্ষক সংগঠন হিসেবে জন্ম নিয়েছে, যা শিক্ষকদের মর্যাদা, একাডেমিক সততা, গবেষণায় উৎকর্ষতা ও জাতীয় দায়িত্ববোধকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউটিএল কেবল একটি প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি একটি আন্দোলন বটে। যে সকল শিক্ষক বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকগণ জাতির উচ্চতর আকাঙ্ক্ষা পূরণে পথপ্রদর্শক; আর সুশিক্ষা সমাজকে ন্যায় ও নৈতিকতার পথে নিয়ে যেতে পারে—ইউটিএল তাদেরই সংগঠন। আসুন, আমরা গড়ে তুলি একটি পেশাদার, নৈতিক ও জাতীয়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শিক্ষকসমাজ।’
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংগঠনের মিশন হবে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন গড়ে তোলা। শিক্ষকগণের একাডেমিক, পেশাগত স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়ন। শিক্ষা ও জাতীয় নীতিনির্ধারণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা। একাডেমিয়াকে মুক্ত, নৈতিক ও গঠনমূলক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সর্বপরি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখা।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সাংবাদিক এবং ‘জুলাই বিপ্লব’-এর শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।