বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

জবি প্রতিনিধি
২৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪০
শেয়ার :
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

‎দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নতুন একটি পেশাদার সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)’ আত্মপ্রকাশ করেছে। ‎আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ‘২৪-এর জুলাই বিপ্লব’-এর শহীদ ওসমানের পিতা আবদুর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।‎

‎অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাসকে আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনকে সদস্যসচিব করে ৫৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।‎

‎এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান জাতীয় চেতনায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। এই আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে পুনর্গঠন করবে বলে আমরা আশাবাদী। এই প্রেক্ষাপটে ইউটিএল একটি পেশাদার শিক্ষক সংগঠন হিসেবে জন্ম নিয়েছে, যা শিক্ষকদের মর্যাদা, একাডেমিক সততা, গবেষণায় উৎকর্ষতা ও জাতীয় দায়িত্ববোধকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।‎

‎শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউটিএল কেবল একটি প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি একটি আন্দোলন বটে। যে সকল শিক্ষক বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকগণ জাতির উচ্চতর আকাঙ্ক্ষা পূরণে পথপ্রদর্শক; আর সুশিক্ষা সমাজকে ন্যায় ও নৈতিকতার পথে নিয়ে যেতে পারে—ইউটিএল তাদেরই সংগঠন। আসুন, আমরা গড়ে তুলি একটি পেশাদার, নৈতিক ও জাতীয়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শিক্ষকসমাজ।’‎

একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন করার দাবি জানিয়ে ‎তিনি বলেন, ‘সংগঠনের মিশন হবে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন গড়ে তোলা। শিক্ষকগণের একাডেমিক, পেশাগত স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়ন। শিক্ষা ও জাতীয় নীতিনির্ধারণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা। একাডেমিয়াকে মুক্ত, নৈতিক ও গঠনমূলক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সর্বপরি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখা।’‎

‎অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সাংবাদিক এবং ‘জুলাই বিপ্লব’-এর শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।