গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ১৫
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর গাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন- একই গ্রামের রোকন আলির স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০), জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), রশিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫), কাজি রোকন আহমেদের ছেলে কাজি কবির আহমেদ (৩৫) এবং রোস্তম আলির ছেলে আবু তাহের (৬০)।
জানা গেছে, গত বুধবার গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আবুল খায়ের ও শেখ ফরিদ গংদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় আবুল খায়ের বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করলে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হজতে পাঠানো হয়।
মামলার প্রধান আসামি শেখ ফরিদকে গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মুরাদনগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে আজ শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হোসনেয়ারা বেগম বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে দোতলা মসজিদের সামনে শেখ ফরিদের লোকজন এসে আমাদের গুলি করে। এতে আমিসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিমা মজুমদার বলেন, ‘আজ দুপুর ১টার দিকে তিনজন নারী ও একজন কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। পরে আবার দুইজন পুরুষ আসে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’