ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফারুক হোসেনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধূ লোকলজ্জায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে অভিযুক্ত আসামিকে র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় র্যাব-১১ ঢাকায় রায়েরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ফারুক সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপনাথপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোপীনাথপুর গ্রামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী তার ৮ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে একা ঘরে বসবাস করেন। ওই গৃহবধূ রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অভিযুক্ত ফারুকসহ অন্যরা তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। গত বুধবার সকালে তার মেয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী নুরানী মাদ্রাসায় পড়তে গেলে ভিকটিম একা থাকার সুযোগে দুপুরের দিকে ফারুকসহ তিনজন তাদের ঘরের শয়ন কক্ষে ঢুকে লুকিয়ে থাকেন। তার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে ঘরে আসলে মেয়েকে ধারাল চাকুর ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন অভিযুক্তরা। পরে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান তারা। ধর্ষণের ঘটনায় আত্মসম্মানের ভয়ে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত ইমো একাউন্টে তার স্বামীর কাছে পাঠানো অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। পরে ঢাকার কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে মামলার প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।