গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫
গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জন ত্রাণের আশায় এসেছিলেন। এছাড়া খাদ্যের অভাবে অপুষ্টিতে আরও দুইজন মারা গেছেন। তবে ইসরায়েলের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ছিটমহলে কমপক্ষে ১১৫ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন, যার মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
ইসরায়েল মার্চ মাসে গাজার উপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মে মাসের শেষের দিকে এই অঞ্চলে সামান্য পরিমান সাহায্য প্রবেশ করতে দিলেও তা ছিল ‘মৃত্যু ফাঁদ’। এ অবস্থায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে এবং ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের আশংকা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সতর্ক করে দিয়েছে যে, ক্ষুধা সংকটের কারণে এ অঞ্চলে পরিবার ভেঙে পড়ছে। পিতামাতারা এতটাই ক্ষুধার্ত যে তারা তাদের সন্তানদের যত্ন নিতে পারছেন না।
এক্সে এক পোস্টে সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, যারা ইউএনআরডব্লিউএ ক্লিনিকে আসছেন তাদের চিকিৎসা পরামর্শ ও খাদ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, ইসরায়েল ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলিতে অপেক্ষারত সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেছেন, পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে, ফিলিস্তিনিরা যেকোনো ধরণের সাহায্যের জন্য হাত পেতে আছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সূত্র থেকে আমরা যা শুনেছি, তা অনুসারে, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ছে। তারা ছড়িয়ে পড়া অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে না কারণ তাদের শরীর লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’