বাঘ সংরক্ষণ সচেতনতায় প্যানটোনিক্স টাইগার রান ঢাকা
বাঘ আমাদের জাতীয় পশু এবং গর্বের প্রতীক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র আবাসস্থল সুন্দরবন। তবে অবৈধ শিকার, বনভূমি উজাড় ও মানুষ- বাঘের সংঘর্ষের কারণে বাঘের অস্তিত্ব বর্তমানে চরম হুমকির মুখে। এ জন্য প্রতি বছর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালন করা হয়।
বাঘ সংরক্ষণে গণসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আগামী ২৬ জুলাই শনিবার ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ‘প্যানটোনিক্স টাইগার রান ঢাকা ২০২৫’। এ উপলক্ষ্যে চ্যানেল আই এর মুস্তাফা মনোয়ার স্টুডিওতে ২৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘সুন্দরবন থেকে বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাঁচাতে বাঘ রক্ষা করা জরুরি। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এই মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করেছি একটি কারণে যেন সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং বাংলাদেশের গর্বের প্রানী, রয়েল বেঙ্গল টাইগার যেন বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি হয় এবং আমরা যেন তাদেরকে আমাদের পাশেই রাখতে পারি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
টাইটেল স্পন্সর ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এহসান আজিজ বলেন, ‘প্যানটোনিক্স টাইগার রান আয়োজনে ইনসেপ্টা সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমির পরিমান খুবই কম। আমাদের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে আমাদের বাঘ রক্ষা করতে হবে। এই জিনিসটা যদি আমরা সবাই বুঝি তাহলেই আমাদের এই অনুষ্ঠান সার্থক।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর আলোচনা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবারই প্রথম ‘প্যানটোনিক্স টাইগার রান ঢাকা-২০২৫’ ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন তরুণদের মধ্যে খুব আগ্রহ সৃষ্টি করেছে এবং আমি আশা করছি খুব ভালো একটি অনুষ্ঠান হবে। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও সহযোগী সংস্থা যারা বিভিন্নভাবে এই অনুষ্ঠাটি আয়োজনে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এই মিনি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করবেন প্রায় এক হাজার প্রতিযোগী। ব্যতিক্রমধর্মী এই মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। আয়োজনে সহযোগিতা করছে সেফ এবং বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব। এছাড়া ইভেন্টের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইমপ্রেস ওয়্যার লিমিটেড, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক ফাউন্ডেশন, পোলার, আকিজ মোটরস, লিমিটলেস সল্যুশন, আড়াল সি ক্রুজ, সুন্দরী ইকো রিসোর্ট এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে চ্যানেল আই ও রেডিও ভূমি। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জন্য থাকবে আন্তর্জাতিক মানের মেডেল, টিশার্ট, ক্যাপ, ব্যাকপ্যাক ও সার্টিফিকেট।