অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বড় করে দেখছেন না আসিফ নজরুল
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বড় করে দেখছেন না বলে জানালেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলের যারা ছাত্র, তাদের কিন্তু আমাদের প্রতি কোনো ক্ষোভ ছিল না। প্রথমে যখন বের হওয়ার চেষ্টা করেছি, তখন স্কুলের দুজন ছাত্র আমাদের সঙ্গে গাড়িতে বসা ছিল। মাইলস্টোনের যারা ছিলেন ওখানে, আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আর কিছু মানুষ উত্তেজিত থাকবে, মানুষের ক্ষোভ বেশি থাকবে, এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এটা খুব বড় চোখে দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘লাশের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তো হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা কনফিউশন ছড়াচ্ছে, তাদেরকে এক্সপোজ করছেন। এত শোকাবহ একটা পরিস্থিতি, সবার হৃদয় ভেঙে যাওয়া পরিস্থিতি, আমরা কেউ নিতে পারছি না এ ঘটনা। এর মধ্যে যারা না জেনে দায়িত্বহীনভাবে গুজব ছড়াচ্ছে, এর চেয়ে বড় অপরাধ আর হতে পারে না। আমরা খুব সহনশীল সরকার, আমরা সবসময় চেষ্টা করি যতটা পারা যায়, সহনশীলতা বজায় রাখতে। সবাইকে বুঝতে হবে, এখানে যদি গুজব ছড়ান, এটা কত বড় অপরাধ হচ্ছে। আপনি যদি নিশ্চিত হন তাহলে সরকারকে জানান। আমরা তো স্কুলেই তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি। সেখানে নিয়মিতভাবে আপডেট দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হচ্ছে না, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না, আজকে ভিডিও ফুটেজ দেখলাম- অন্য কোনো স্কুল থেকে এসে ক্লাস নাইনের মেয়ে বলছে, ক্লাস থ্রির মেয়ে তার ফ্রেন্ড! মানে উদ্ভট সব ঘটনা। এখন মিডিয়া শক্তিশালী আছে, স্বাধীন আছে, আপনারা গুজব সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করেন। তথ্যকেন্দ্র আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে, যেকোনো সময় ফোন করলে তথ্য পাবেন। এটা তো নির্দিষ্ট একটা জায়গায় ঘটনা, এটা তো লঞ্চডুবি বা এমন কোনো জায়গা না, যেখানে লুকানো থাকবে। স্কুলের রেজিস্টার আছে, প্রত্যেকটা বাচ্চার বিস্তারিত তথ্য আছে। বুধবার আমরা যখন গেলাম, তখন মাইলস্টোনের শিক্ষকরা বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের হাতে রেজিস্টার দিয়ে বলেছেন চেক করে দেখতে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এত বড় একটা ঘটনার পর মানুষের মনে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম, এটা নিয়ে দুঃখ-ক্ষোভ হতাশা কিছুই নাই। আমরা সর্বাত্মক চেয়েছি, আমাদের বেরিয়ে আসার জন্য যেন কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ না হয়।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?