হঠাৎ কেন সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই বিরোধের শেকড় শতবছরের পুরোনো, যখন ফরাসিরা কম্বোডিয়া দখল করেছিল এবং তখনকার সময় দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়।
২০০৮ সালে বিরোধ আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তেজনায় রূপ নেয়। সেসময় কম্বোডিয়া তাদের সীমানায় অবস্থিত ১১শ’ শতাব্দীর একটি প্রাচীন মন্দিরকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে। থাইল্যান্ড তখন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, কারণ মন্দিরটি একটি বিতর্কিত অঞ্চলে অবস্থিত। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে উভয় পক্ষের সৈন্য এবং সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা বেড়ে যায় ২০২৫ সালের মে মাসে। সেসময় সংঘর্ষে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হন। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গত দুই মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে ফলমূল ও শাকসবজি আমদানি বন্ধ করেছে এবং বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবাও নেওয়া বন্ধ করেছে। দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তেজনা নিরসনে আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ জরুরি, নইলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যায়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে দুটি রকেট হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়া। এই হামলায় ১২ বছরের এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই হামলার জবাব দিয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ায় গুলিবর্ষণ করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যস্থল ধ্বংস করেছে। এক থাই সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সব সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে থাইল্যান্ড।