জামিন নিয়ে ফেরার পথে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার, আদালতে ডিম নিক্ষেপ
শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলায় জামিন নিতে এসে ফেরার পথে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে আদালত থেকে ফেরার পথে উত্তেজিত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন। পরে পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে যায় এবং অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিনকে র্যাব তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া যায়। প্রথমে র্যাব তুহিনের মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করলেও ৯ বছর পর ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তুহিনের মামা কবিরুল ইসলাম কবির সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রুহুল আমিন ও ডা. রাব্বানী ২ ও ৩ নম্বর আসামি।
তুহিন হত্যা মামলার আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ জানান, দুই আসামি জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে আদালত ২৮ জুলাই শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। জামিন থাকা অবস্থায় অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
মামলার বাদী কবিরুল ইসলাম জানান, তুহিন হত্যায় আসামিদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল এবং তাদের উপস্থিতিতে র্যাব ক্যাম্পে তাকে হত্যা করা হয়। পরে সড়ক র্দুঘটনায় মারা গেছে এমন নাটক সাজানো হয় এবং র্যাবের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, নিরাপত্তার কারণে পুলিশ রুহুল আমীন ও গোলাম রাব্বানীকে থানায় নিয়ে এসেছে। তুহিন হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগের ওই দুই নেতা আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত জামিনে থাকলেও; পরে তাদের অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, দুপুরে ওই দুই আওয়ামীলীগ নেতার আদালতে আত্মসমর্পনের খবরে আদালত প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। আদালতের বারান্দায় বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাস্তায় তাদের লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন নেতাকর্মীরা।