শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:১৯
শেয়ার :
শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা

রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার (এসপি) এ. এফ. এম তারিক হোসেন খান। আজ বুধবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।

শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘মাহরীন চৌধুরীর সাহসিকতা আমাদের গর্বিত করেছে। তার আত্নত্যাগ এই প্রজন্মের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’

পুলিশ সুপার এ. এফ. এম তারিক হোসেন খান বলেন, ‘মাহরীন চৌধুরী ছিলেন মানবিক সাহসী ও অনুকরণীয় একজন শিক্ষক। তার আত্নত্যাগ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র সেকশনের ক্লাসরুমে বিধ্বস্ত হয় একটি প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান। মুহূর্তেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় ভবনে। এসময় পাশের একটি ভবন থেকে বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন মাহরীন। একপর্যায়ে তিনি নিজেই আগুনে আটকে পড়েন। ফলে তার শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের লাইফ সাপোর্টে। সেখানে ওই দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মাহরীনের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামে। তার বাবা মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরী। মাহরীন ছিলেন স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি। পারিবারিক পরিচয়েও ছিলেন একজন পরিচিত মুখ। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। তার বাবা মহিতুর রহমান হচ্ছেন জিয়াউর রহমানের খালাতো ভাই। দাদি রওশানারা চৌধুরী ছিলেন জিয়াউর রহমানের খালা।