ছোট বড় দল নির্ধারণ করা সরকারের কাজ নয়: আবু হানিফ
কোন দল ছোট, কোন দল বড় সেটা নির্ধারণ করা এই সরকারের কাজ নয়। এটা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
আজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে আবু হানিফ লিখেছেন, ‘গতকাল চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেছে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদ। আজকে আবার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভালো। তবে গতকাল চারটি দলের দুজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে বসে আবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চারটি বড় দল।এই বড় দলের সংজ্ঞা কি কি সেটা তো সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি লেখেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকারের উচিত সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় অংশগ্রহণমূলক কাজ করা। কিন্তু সরকার যদি পছন্দমতো ছোট বড় দল ভাগ করে কাজ করতে যায় তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে। কোন দল ছোট বড় সেটা নির্ধারণ করা এই সরকারের কাজ নয়, এটা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ঠিক করবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
গণমাধ্যম সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘সরকারের ভাষ্যমতে বড় দল যারা, তাদের কেউ হয়তো হাসিনার সঙ্গে আপস করে চলতে পারে, আবার কোন দলের নিবন্ধন নাই, আবার কোন দলের একজনও শহীদ হয় নাই।পক্ষান্তরে সরকারের ভাষ্যমতে ছোট দলের বিগত সময়ে অনেক ত্যাগ ছিল, এসব দলের অনেকেই জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। ফলে সরকার ছোট বড় ভাগ করতে গেলে বিভেদ বাড়তে পারে, ঐক্য বিনষ্ট হতে পারে, এসব বিষয়কে সরকারের উচিত সাবধানতার সঙ্গে ডিল করা।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আরেকটা বিষয় গতকাল প্রধান উপদেষ্টার মিটিং এর একটা ফুটেজ গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে, প্রেস উইং। সেখানে প্রধান উপদেষ্টাকে হাসতে দেখা যাচ্ছে। হাসাটা খারাপ কিছু নয়।কিন্তু গত পরশু দিনের ঘটনায়, শোকের দিনে এমন হাসি মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। একই সঙ্গে গতকাল প্রেস উইং থেকে সহযোগিতার একটা পোস্ট দেওয়া হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার পেজে।সেটা সমালোচনার মুখে সরিয়ে নেয়।’
সবশেষে আবু হানিফ লিখেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সরকার, প্রায় সব দলের পছন্দের সরকার। ফলে এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা বেশি এবং সরকার অনেক ম্যাচিউর কাজ করবে এটা সবাই চায়।তাই এ ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীলদের সর্তক থাকতে হবে।’