নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণ, ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অপহরণের শিকার মাহিয়া সুলতানা (১৩) সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকার রাজীব মিয়ার মেয়ে এবং ননী গোপাল মঞ্জুশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
অপহরণের ৫ ঘন্টা পর গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভুক্তভোগী কৌশলে তার দাদার মোবাইলে ফোন করলে পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগীকে গেরিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের ওপর থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে চিরাম ইউনিয়নের জয়পতাক এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে মো. রিদয় খানসহ (২২) অজ্ঞাত আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া একজন সিএনজি চালক। কিশোরীর বাবার মোবাইল ফোনে প্রায় সময়ই আসামি রিদয় খান ইমোতে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ করতেন এবং ফোনে কথা বলতে চাইতেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামিকে ফোন করতে নিষেধ করলে আসামি হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে আসামি রিদয় খান ভুক্তভোগীর গলায় ও মুখে গামছা পেঁছিয়ে অজ্ঞাত দুই তিনজনের সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে তার দাদাকে ফোন করলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পরিবারের লোকজন গেরিয়া গ্রামের একটা কালভার্টের ওপর থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন।
অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীর ফুফু বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে ওরা অপহরণ করে নিয়ে গেছিল।’ উদ্ধারের পর পরই কেন হাসপাতালে নিয়ে আসলেন না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্ধার করেই আমাদের ইউপি সদস্যকে অবগত করি। তখন আমার ভাতিজির শরীরের অবস্থা স্থিতিশিল ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অবস্থা খারাপ হলে আমরা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আমার ভাতিজির ওপর হওয়া এই অন্যায়ের চূড়ান্ত বিচার চাই।’
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর বাবা আমাদের কাছে একটি অপহরণের অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটি তদন্ত করছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’