এই গরমে পঞ্চগড়ে দেখা মিলল ঘন কুয়াশার
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সব এলাকার থেকে আগে ও পরে শীত যায়। তবে উত্তরের এ জেলাটিতে বর্ষার সকালে দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশার। গত ৪০-৫০ বছরেও এমন দিনে কুয়াশার দেখা মেলেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
আজ বুধবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পঞ্চগড়ের পথঘাট। ভোর থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে যানবাহন। গত রাত থেকে জেলার সড়ক মহাসড়কগুলোতে হালকা পরিমাণে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও বাড়তে থাকে। ভোরবেলা বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে কুয়াশা।
এদিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগে সকাল ৬টায় একই তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হয়। দিনের বেলায় ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি এবং রাতের বেলায় ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে জেলার তাপমাত্রা।
বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালের কুয়াশায় ঘাস ও ক্ষেতের ওপর শিশির বিন্দুতে শীতকালের আবহ দেখে অবাক হয়েছেন পঞ্চগড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে অন্যরকম সকাল উপভোগ করেছেন তারা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে উত্তরের এ জেলায়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার কৃষক সহিদ আলী বলেন, ‘ভোরবেলা যখন ঘুম থেকে উঠি চারিদিকে খুব ঘন কুয়াশা দেখতে পাই। অন্যান্য সময়ে বর্ষাকালে এমন দৃশ্য দেখা যেত না। তবে আমরা পূর্বপুরুষদের কাছে শুনেছি বর্ষাকালে কুয়াশা দেখা গেলে নাকি বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যায়। গত কিছুদিন ধরে বৃষ্টির অভাবে ভালোভাবে রোপা আমন লাগাতে পারছি না। বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন।’
জেলা শহরের ইজিবাইক চালক শাহিন ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি চারদিক কুয়াশায় ঢেকে গেছে। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে অথচ ভ্যাপসা গরমও রয়েছে। বর্ষাকালে এমন কুয়াশা আগে চোখে পড়েনি।’
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘রাতের তাপমাত্রা কমে গেছে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্প ঘনিভূত হয়ে ক্ষুদ্র জলকণা কুয়াশা হিসেবে দেখা দিয়েছে। রাতের সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রি পার্থক্য ছিল।’