আমি শুধু গোল করতে চাই : সাগরিকা
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অঘোষিত ফাইনালে সাগরিকা হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এই আসরে তিনি সাসপেন্ডও ছিলেন কার্ডের জন্য। আর নেপালের বিপক্ষে পরশু ফিরে হ্যাটট্রিক করে দলকে শিরোপা পাইয়ে দেন। কাল কথা হলো সাগরিকার সঙ্গে। আমাদের সময়ের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
এই আসরে অনেক গোল করলেন, কেমন লাগছে?
সাগরিকা : আমি আসলেই খুশি। তবে কার্ড পেয়ে ম্যাচ খেলতে পারিনি। এ জন্য মন খারাপ ছিল। নেপালের বিপক্ষে সফল হয়ে খুশি। আমি শুধু গোল করে যেতে চাই।
নেপালের খেলা দেখে কেমন মনে হয়েছে?
সাগরিকা : নেপাল আগের চেয়ে অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে। ধীরে ধীরে ওরা উন্নতি করছে। আমরা ওই পরিস্থিতিতে আগে ছিলাম। আমরা এখন অনেক ভালো ফুটবল খেলি।
আরও পড়ুন:
স্পিনে ভরসা রাচিনের
আপনার পছন্দের ফুটবলার কে, অনেকে আপনার ফিনিশিংয়ের ভক্ত?
সাগরিকা : নেইমার আমার পছন্দের ফুটবলার। তার স্কিল ও ড্রিবলিং আমার ভালো লাগে। আর সে অনেক স্টাইলিশ। খেলা দেখেই মজা লাগে বেশি।
আপনি ঠাঁকুরগাওয়ে বড় হয়েছেন। একটু বলবেন ছোট করে এখানে আসার গল্প?
সাগরিকা : আমার উঠে আসার গল্প অনেক কঠিন ছিল। বাবা খেলতে দিতে চায়নি। মনের মধ্যে জেদ ছিল ফুটবল খেলব। ফুটবল খুব ভালো লাগে, খেলতে পারব না মানতে পারতাম না। ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে লিগে খেলে ভালো করি। আর লিটু স্যার আমার পারফরম্যান্স দেখে পরে বয়সভিত্তিক দলে ডাকে। উনারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি শুধু কাজে লাগিয়েছি।
আরও পড়ুন:
সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র
বাংলাদেশে নারীদের ফুটবলার হওয়া কঠিন, কতটা কঠিন?
সাগরিকা : অনেক কঠিন। নানা কথা শুনতে হয়। তবে এখন কথা বলে না কেউ। আপনি ভালো ফুটবল খেললে কথা কমে যাবে। ছয় মাস বাড়ি যাই না। শুধু ভালো খেলতে চাই। আমার মাথায় অন্য কিছু নেই। আমরা তো সবসময় ক্যাম্পেই থাকি। ফুটবলের জন্যই এসব চলে আসে। ফুটবলকে ভালোবাসি। দেশের জন্য কিছু করতে পারছি। বাবা মাও খুশি হবেন।
আপনি তো সংসারের হালও ধরছেন অনেকটা?
সাগরিকা : আমার আরেকটি ভাই আছে। আমি চেষ্টা করি কিছু দিতে। আর সিনিয়র দলে জায়গা পেলে আশা করি আরও ভালো কিছু পরিবারকে দিতে পারব। আমার বাবা-মায়ের খুব আশা আমাকে বড় পর্যায়ে দেখবে। আমি আরও ভালো খেলতে চাই।
আরও পড়ুন:
বিপাকে আলভেস
সামনে অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান কাপ বাছাই। এ প্রসঙ্গে কিছু বলুন?
সাগরিকা : আসলে প্রস্তুত আছি। এর থেকে আরও ভালো কিছু করতে হবে আমাদের। যে কদিন সময় পাব, আমাদের আরও ভালোভাবে তৈরি হতে হবে। এর থেকে বেটার পারফরম্যান্স করতে হবে। তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব। লাওস ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব তিমুর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ওদের সম্পর্কে আমাদের খুব ভালো জানাশোনা নেই। তারা কেমন খেলে তা এখনও দেখিনি। তো আমাদের কোচ যেই নির্দেশনা দেন, সেটি মেনে আমাদের খেলতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো কিছু করে আসব।