রেললাইনে গৃহবধূর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ, স্বামী পলাতক
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের খালিসা রেল ব্রিজ সংলগ্ন রেললাইনে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত সীমা আক্তার কুলিয়ারচরের সালমান কান্দি গ্রামের শাহীন মিয়ার স্ত্রী এবং ছয়সূতী ইউনিয়নের উত্তর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার দেড় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব-কুলিয়ারচর রেললাইনের খালিসা রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়দের পাশাপাশি নিহতের পরিবার এ ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যু মানতে নারাজ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সীমা ও তার স্বামী শাহীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। সীমা গতকালই বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান। এর ঠিক পরদিনই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।
নিহতের বড় বোন রিমা আক্তার বলেন, ‘আমার বোন আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে নিহতের বাবা মো. শানু খাঁ ও মামা মো. মাসুম মিয়াও একই অভিযোগ করেন। তাদের দাবি, ‘সীমার দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। জামাই ও তার পরিবার বহুবার তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়।’
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রেললাইনে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’