নিজে দগ্ধ হয়েও শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা শিক্ষিকা মাহেরীন চিরনিদ্রায় শায়িত
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গতকাল সোমবার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজে দগ্ধ হয়েও ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী। গতকাল দিবাগত রাতেই মারা যাওয়া এ শিক্ষিকাকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
মাহেরীন চৌধুরী মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটর ও বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মামাতো ভাই মহিদুর রহমান চৌধুরী ও ছাদেরা চৌধুরী দম্পতির মেয়ে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরের পর একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। দাফনের আগে বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মেহেরীন চৌধুরী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, ‘শিক্ষাবিস্তারে নিবেদিতপ্রাণ মাহেরীন চৌধুরী তার নিজ গ্রামের বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের গভীর শোকের কারণ হলেও আমরা সে শোককে কাটিয়ে উঠে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’