মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের সময় শিশুদের ক্লাস চলছিল
ঢাকার উত্তরায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিকটবর্তী এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শাখায় ক্লাস চলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
মাইলস্টোন কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, ঘটনার সময় প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে সবাই চমকে ওঠে। অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে। শিক্ষকরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন। যদিও তিনি হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি।
কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম জানান, ছুটির ঠিক আগমুহূর্তে ঘটনাটি ঘটে। তার ভাষায়, ‘একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সরাসরি জুনিয়র সেকশনের বিল্ডিংয়ের ওপর ভেঙে পড়ে। ওই বিল্ডিংয়ে নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয়। ধ্বংসস্তূপে আগুন ধরে যায় এবং পুরো বিল্ডিংয়ে গর্ত হয়ে যায়। এখন উদ্ধার কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিধ্বস্তের পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার অভিযানে যোগ দেন।
শেষ খবর অনুযায়ী, নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৬ জন দগ্ধ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। মাইলস্টোন কলেজের এক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর ছিলেন বিমানে একমাত্র ব্যক্তি। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।