নদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক, পরে পুলিশে সোপর্দ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ জুলাই ২০২৫, ১৪:০২
শেয়ার :
নদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক, পরে পুলিশে সোপর্দ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন শাকিল (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও কয়েকজন চাঁদাবাজ কৌশলে পালিয়ে যান।

শাকিল গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাব মিয়ার ছেলে। তিনি চাঁদাবাজ ইব্রাহিম-চাঁন বাদশা গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে নদীতে চাঁদাবাজি করতে যায় ৪/৫ জন। এ সময় নৌযান থেকে চাঁদা তোলার সময় স্থানীয়রা ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া দিলে শাকিল নামে এক চাঁদাবাজ আটক হন। তবে কৌশলে অন্যরা পালিয়ে যান। জব্দ করা হয় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি। পরে স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিসির আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি আড়ালিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মেঘনার শাখা নদীতে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এদের অপকর্মের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। আজকে জনতার হাতে একজন আটক হয়েছে। আমরা আশা করব, এই চক্রের বাকি সদস্যরাও দ্রুত আটক হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মেঘনার শাখা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছিল। প্রতিটি নৌযান থেকে ৩০০-৮০০ পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হতো। যদি কেউ তাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে না চাইলে তাকে মারধর করা হতো। নৌযান চালকদের রীতিমতো জিম্মি করে ফেলেছিল তারা।’

এদিকে জনতার হাতে আটক শাকিল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম, ভুল বুঝে জনগণ আমাকে আটক করে। আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নেই। আমার অপরাধ আমি ইব্রাহিম ও চাঁন বাদশার সঙ্গে ঘোরাফেরা করি।’

এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত আপনাদের পরে জানানো হবে।’