সোহাগ হত্যায় আরেক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় আসামি সজীব বেপারী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শনিবার সজীবের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই দিন আরেক আসামি সজীব বেপারীর ভাই রাজিব বেপারীকে রিমান্ড শেষে একই আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
উভয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। গত ১৪ জুলাই তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ নিয়ে মামলাটিতে চার আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া অপর তিনজন হলেন মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। গত ১৭ জুলাই এ তিনজন জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির পর তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে আসামি তারেক রহমান রবিন একই ঘটনার অস্ত্র মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ আসামি বর্তমানে হত্যা মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি মো. নান্নু কাজী, মো. রিজওয়ান উদ্দিন অরফে অভিজিৎ বসু ও মাহমুদুল হাসান মাহিন রিমান্ডে গেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহত লাল চাঁদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের এমন বিবরণ উঠে এসেছে।
ওই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।