বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার জাতীয় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে দলটি। ট্রেনগুলোর কোনোটি গতকাল শুক্রবার রাতে কোনোটি আজ শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে। সমাবেশ শেষে আজ রাতে আবার সংশ্লিষ্ট গন্তব্যে ফিরে যাবে ট্রেনগুলো।
জানা গেছে, এই চারটি ট্রেন ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
এদিকে জামায়াতের ট্রেন ভাড়া করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
সমাবেশের জন্য রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া নেয় জামায়াত। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে ১২ লাখ টাকায় ট্রেনটি ভাড়া করা হয়। ১১টি বগি নিয়ে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটি এরই মধ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) পক্ষে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল আওয়াল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী স্টেশন থেকে ঢাকা স্টেশন পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ৭৫৫/৭৫৬ নম্বর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (শনিবার) বিশেষ ট্রেনটি পরিচালিত হয়েছে। ট্রেনটি উভয় পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ান ও সরদহরোড স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। ট্রেনটি শনিবার রাত সোয়া ৮টায় ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়বে, রাজশাহীতে পৌঁছাবে রাত ১টা ১৫ মিনিটে।
এদিকে একই সমাবেশের জন্য সিরাজগঞ্জ থেকে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। ট্রেনটি শনিবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে। ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৯টায়। ঢাকা থেকে আবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জে ফিরে আসবে।
সমাবেশের জন্য চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে ময়মনসিংহ থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আনতে একটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া নিয়েছে জামায়াত।
অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে।
রেলওয়ে বলছে, সমাবেশ উপলক্ষে দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির পূর্বাপর ইতিহাস না জেনে পক্ষপাতমূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
রেলওয়ে আরও জানায়, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (অফ-ডে) থাকা ট্রেনের নির্ধারিত কোচ দিয়ে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। এর ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনো ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। অর্থাৎ এসব রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।