বহিঃশক্তি ফ্যাসিস্টদের উসকানি দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: জোনায়েদ সাকি
বহিঃশক্তি পতিত ফ্যাসিস্টদের উসকানি দিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমাদের মোকাবেলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার এখনো আইন-শৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে পারে নাই। যার কারণে মিটফোর্ডের সামনে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তারপরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে ওইভাবে হামলা করা হয়েছে। এর জন্য জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষায় আমাদের ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য রক্ষা করতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে সমাবেশ ও শহীদি মার্চ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখছি ক্ষমতা ব্যবহার করে নানানজন দখল করে ধনসম্পদ আহরণ করছে। জুলাই পরিষ্কার করে বলছে এই দেশ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দেশ। কাজেই এই দেশে ক্ষমতা ব্যবহার করে এই ধনসম্পদ আহরণের যে ব্যবস্থা, যে ক্ষমতা ব্যবস্থা তাকে বদল করতে হবে। আর সেটাই হলো নতুন বন্দোবস্ত। আমরা বলেছি নতুন বন্দোবস্ত মানে সংস্কার করতে হবে। সেই সংস্কার জনগণের সম্মতি নিয়ে করতে হবে।’
পতিত ফ্যাসিস্টরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা জাতীয় সংকট মুহুর্তে আছি। পাশের দেশসহ নানা শক্তি পতিত ফ্যাসিস্টদের যারা পৃষ্টপোষক তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সরকারকে দেখছি আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে পারে নাই। যার কারণে মিডফোর্ডের সামনে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটে। তারপরে গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে ওইভাবে হামলা হয়, চারজন নিহত হয়।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খাঁন, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর রহমান, ফতুল্লা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আল মামুন।