মামলা করায় গুলিবিদ্ধ জুলাইযোদ্ধাকে হত্যার হুমকি
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করেন জুলাইযোদ্ধা জামশেদুল আলম। কিন্তু মামলার এক মাস পরেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং এজাহারভুক্ত আসামিরা মামলার বাদীকে নিয়ে অপপ্রচার ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামশেদুল আলম। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামশেদুল আলম বলেন, ‘আমি একজন গেজেটেড আহত জুলাইযোদ্ধা। ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হাতে ফেনীর ইসলামপুর রোডে আমি গুলিবিদ্ধ হই। আমার শরীরে এখনো গুলির স্প্লিন্টার রয়েছে। আমি দীর্ঘদিন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলাম। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ জুন ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-১০০ জনকে অজ্ঞাত ও আসামি করি। এই মামলায় এখন পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছাগলনাইয়ার তমিজ উদ্দিন মাঝির বাড়ির মৃত সামছুল হকের ছেলে নুরুল আলম ফটিক আমাকে নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও তার সহযোগী ও আমার এলাকার হারুন ও ছাগলনাইয়া মৃত রুহুল আমিন এর ছেলে নজরুল ইসলাম প্রকাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিবারসহ আমাকে ও জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করছে।’
এ বিষয়ে আমি গত বুধবার ফেনী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি বলেও জানান তিনি।
জুলাইযোদ্ধা জামশেদুল আলম বলেন, ‘২০২১ সালে বিএনপি করার কারণে স্থানীয় মামুনের বাহিনীর হামলায় আমি আহত হয়ে এলাকা ত্যাগ করি। আমার দাদার মৃত্যু হলেও আমি তাকে শেষ বারের মতো দেখতে এলাকায় আসতে পারি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে হুমকি দেওয়া নুর আলম ফটিক বংশগতভাবে একজন আওয়ামী পরিবারের সদস্য। নজরুল ইসলাম প্রকাশ একজন হত্যা মামলার আসামি। তিনি নুর উদ্দিনকে প্রকাশ্যে ভূঁইয়ার হাট বাজারে জবাই করে হত্যা করে।’
বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার এদের ভয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। একই সঙ্গে ফটিক, ফারুক ও হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।’