ইসরায়েল রক্তপিপাসু ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র: এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ‘ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। সিরিয়ার দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার অজুহাতে দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে রক্তপিপাসু ইসরাইল।’
গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়াকে কোনো ভাবেই ভাঙতে দেওয়া হবে না। সিরিয়ার বিভাজন কখনোই মেনে নেবে না তুরস্ক। বুধবার যেমন আমরা সিরিয়ার বিভাজন বা টুকরো টুকরো হওয়ার বিরুদ্ধে ছিলাম, আজ ও আগামীকালও তেমনই থাকব। সিরিয়ার অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, গত তিনদিন ধরে ইসরায়েল দ্রুজদের অজুহাতে তার দস্যুবৃত্তিকে সিরিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। যারা ইসরায়েলের ওপর ভরসা করছে, তারা শিগগিরই বুঝবে তারা বড় ধরনের ভুল করেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েয়েল আইনের তোয়াক্কা না করা, সীমাহীন উদ্ধত, নিয়ম ভঙ্গকারী, নীতিহীন, অহংকারী, লুণ্ঠনকারী, রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়ার স্থিতিশীলতা শুধু সে দেশের জন্য নয়, বরং আশপাশের সব দেশের জন্যই শান্তি বয়ে আনবে। আর যদি তা না হয়, তাহলে সবাইকেই এর বোঝা টানতে হবে।’
এরদোয়ান বলেন, ‘যারা নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে চায়, তারা যেন এটা মনে রাখেন তারা এই ভূমিতে অতিথি, কিন্তু আমরা এ ভূমির প্রকৃত বাসিন্দা।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এরদোগান জানান, তুরস্ক সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য, একক রাষ্ট্র কাঠামো এবং বহুসাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করাই তুরস্কের মূল নীতি।’
তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ‘আমরা সম্মানজনক পররাষ্ট্রনীতি, শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ ও কূটনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে সবসময় শান্তির পক্ষে আছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ঈর্ষা বা শত্রুতা পোষণ করি না। কারও অধিকার, আইন বা সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা শুধু শান্তি চাই।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস