সোহাগ হত্যায় ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন পৃথক মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ারা হলেন টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।
আজ রিমান্ড শেষে তিনজনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ তিন আসামির জবানবন্দী রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে গত ১৩ জুলাই আসামি আলমগীর ও মনিরের চার দিন এবং গত ১৪ জুলাই আসামি টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এই রিমান্ড শেষে তারা বৃহস্পতিবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেন। এর আগে আসামি তারেক রহমান রবিন একই ঘটনার অস্ত্র মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এ আসামি বর্তমানে হত্যা মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন।
এ মামলায় আসামিদের মধ্যে মো. নান্নু কাজী, মো. রিজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু, দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারী এবং মাহমুদুল হাসান মাহিন রিমান্ডে গেছেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এর আগে গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহত লাল চাঁদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের এমন বিবরণ উঠে এসেছে।
এই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।
উল্লেখ্য, নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।