কুষ্টিয়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পৌর কর্তৃপক্ষের ইজারা দেওয়া সড়ক থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে বিরোধে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দু’জন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার কাজীপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কুমারখালী পৌরসভা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক ও সড়কের ইজারাদার রাকিব হোসেন (৪০) কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জামায়াত সমর্থকদের এলোপাতাড়ি কোপে তিনি গুরুতর আহত হন।
আহত অপর ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম শোভন (৩০)। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইনের ছেলে। নিজ বাড়িতেই শোভনের চিকিৎসা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পৌর এলাকায় যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়ের জন্য এক বছরের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রায় ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন রাকিব হোসেন। বুধবার বিকেলে যুব জামায়াত নেতা শোভনের এক অটোচালক বন্ধু কাজীপাড়া আসেন। এ সময় রাকিবের লোকজন রসিদ দিয়ে ২০ টাকা দাবি করেন। এ সময় ওই চালক টাকা না দিয়ে শোভনের নম্বরে কল দেন।
এ সময় শোভন তার লোকজন নিয়ে কাজীপাড়া এলে ইজারাদার রাকিবের সমর্থকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তারা ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
রাকিবের সহযোগী মো. বাপ্পীর ভাষ্য, ‘শোভন এসেই রাকিবের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে ফোনে ৬-৭ জন লোক ডেকে আনেন। তাদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল। তারা এসে রাকিবকে কুপিয়ে দ্রুত চলে যান।’
সাইফুল ইসলাম শোভনের দাবি, ‘আমার বন্ধুর কাছ থেকে চাঁদা নিতে নিষেধ করায় রাকিবের লোকজন আমাদের মারধর করেছেন। আমার হাত কেটে গেছে। ওদের কারা মেরেছে, তা জানি না।’
উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সবুজ বলেন, ‘রাকিবের মাথায় একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইনের ভাষ্য, ‘আমার ছেলে তো মারামারি করার লোক নয়। কী ঘটেছিল তা বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।’
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘ইজারার টাকা তোলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’