‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২
শেয়ার :
‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও গণতন্ত্রের সংগ্রামের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ্য করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ জানে কারা এই অবৈধ শক্তি, কারা এই অপ্রচারের পেছনে কাজ করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসা উচিত। আহ্বান জানাব- সত্যের পথে আসুন, অন্যায়ের পথ পরিহার করুন। অন্যথায় এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’

গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে থানা বিএনপির আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আড়াইহাজার থানা বিএনপি অফিসের মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, ‘সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিতেই সকল প্রকার গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।’ এ সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই কেবল স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি আরও বলেন, দুটি ইসলামী দল ভারতের ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি ইসলামী রাজনীতিক দলের রক্তাক্ত ইতিহাস-পাকিস্তানি দোসর থেকে শুরু করে এরশাদ ও শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। 

আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাশিম ফকিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। 

সমাবেশে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন এবং জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সমর্থনে স্লোগান দেন। বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়, যা থানা সদর প্রদক্ষিণ করে।