অনেক ছাত্র সংগঠন আবু সাঈদকে ভুলতে বসেছে: ছাত্রদল সভাপতি

রংপুর প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৫, ২৩:০০
শেয়ার :
অনেক ছাত্র সংগঠন আবু সাঈদকে ভুলতে বসেছে: ছাত্রদল সভাপতি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ‘এক বছর হতে না হতেই আন্দোলনের দাবিদার অনেক ছাত্র সংগঠন আবু সাঈদকে ভুলতে বসেছে।’

আজ বুধবার জাতীয় জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদ স্মরণে রংপুর বিভাগীয় ছাত্র সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনে ছাত্রদলের সকল ইউনিট ঝাপিয়ে পড়েছিল।’

জুলাই শহীদ দিবসে আবু সাঈদের কবরের পাশে কোনো ছাত্রসংগঠন না যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘তারা কেউ তার কবরের পাশে না গেলেও একমাত্র ছাত্রদল তাকে ভুলেনি। তাই ছাত্রদল তার ১৬ জুলাই পীরগঞ্জে বীর শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছে।’

এ সময় তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘৭১ এর পরাজিত শক্তির ওপর ভর তীব্র ভুল পথে হাঁটছেন, বন্ধুদের ভুলে গেছেন। শহীদ জিয়া, তারেক রহমানের নামে আজেবাজে স্লোগান দিলেও একটি বারও শেখ মুজিবকে নিয়ে কোনো স্লোগান দিতে শোনা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সরল ও কোমল মতিকে কাজে লাগিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরা মানুষের মাঝে ভুল মেসেজ দিতে চোরাপথ বেছে নিয়েছে। কারণ সামনে রাজনীতি করার সাহস এদের নেই। এরা সমাজে প্রকাশ্যে নিজেদের পরিচয়টাও দিতে পারে না। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।’

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রদল মনে করে যদি কেউ সীমা লঙ্ঘন করে তাহলে ছাত্রদল তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মনে রাখবেন অতীতে অনেক ছাত্রসংগঠন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাঁত করলেও ছাত্রদল কোনোদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাঁত করে নাই।’

রংপুর মহানগর ছাত্র দলের আহ্বায়ক ইমরান খান সুজনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম। রংপুর মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি রংপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আফতাবুজ্জামান সুজন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভাগের ৮ জেলা ১টি সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দ।