বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আরেকজনের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না: মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৫
শেয়ার :
বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আরেকজনের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না: মঈন খান

বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আরেকজনের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কারও বিরুদ্ধে কথা বলে না। বিগত ১৫ বছর একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল মুখে স্বাধীনতার কথা বলে গেছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে বারবার হাত মিলিয়ে দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করেছে। বিএনপি শুধু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে।’

তিনি বলেন, ‘যারা বর্তমানে দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, তাদের শুধু একটা কথাই বলব যে আপনারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখুন। বর্তমানে দেশজুড়ে যে সহিংসতা-হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছেন তাদের বলব- সঠিক পথে ফিরে আসুন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি দেশে স্বকীয় ও ভিন্ন ধারার চিন্তায় বিশ্বাস করে, কিন্তু বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আরেকজনের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যারা এ পন্থা অবলম্বন করে তাদের এ পন্থা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘২৪-এর আন্দোলনকে আজ আমরা স্মরণ করি, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ৫ আগস্ট, যেদিন স্বৈরাচার পালিয়ে গেল, সেদিনের বিজয়কে আটকে রাখলে হবে না। একে সুসংহত করে দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। কথা হলো, স্বাধীনতার এক বছর অতিক্রম হলেও আমাদের অগ্রগতি কি? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত এক বছরে কি অর্জন করেছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে। তাদের কাছে দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশা, সেটা হলো গণতান্ত্রিক উত্তরণ। গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ কি সত্যিকার মানবসৃষ্ট নাকি উদ্দেশ্যমূলক সাজানো নাটক তা উদ্‌ঘাটন করতে হবে।’

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এখন কেবল পথ একটাই তা হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা নেই। কেউ যদি বলে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাহলে তাদের পথ আলাদা। ৫ আগস্টে যে বিজয় এসেছে সেটা কিন্তু সংগ্রামের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। তবে তা এখনো হয়নি। আর তৃতীয় ধাপ ছিল একটি জনগণের নির্বাচিত দলের সরকার গঠিত হওয়া। তাহলেই আমাদের সেই বিজয় পূর্ণতা পাবে।’