নিজেকে ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে

বিনোদন সময় প্রতিবেদক
১৫ জুলাই ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
নিজেকে ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে

অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। সম্প্রতি ক্যারিয়ারে এক যুগ পার করেছেন। এই সময়টায় তার অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র। কখনও প্রতিবাদী কিংবা প্রান্তিক জনপদের নারী, কখনও পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা, কখনও নরম-কোমল প্রেমিকা, কখনও আবার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় নিজেকে ভেঙে গড়েছেন। এক যুগের পথচলা ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া

অভিনয়ে এক যুগ পার করলেন। এই দীর্ঘ সময়টা জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

চ্যানেল আই আয়োজিত ‘ভিট টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে মিডিয়াতে যাত্রা শুরু করি। এর পরই ‘ঝুঁকির মধ্যে আছি’ নামের একটি নাটক দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু। এতে আমার সহশিল্পী ছিলেন আখম হাসান। তবে প্রথম অভিনীত নাটকটি প্রচারে আসেনি। আমার ক্যারিয়ারও কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু আমি হতাশ ছিলাম না। বরাবরই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল, পারব। প্রথম প্রচারে আসে শরাফ আহমেদ জীবনের পরিচালনায় একটি মুঠোফোন সেবাদান প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। তখন অনেকের নজরে পড়ি। দেখতে দেখতে এক যুগ চলে গেল। প্রতিটা মানুষের ক্যারিয়ারেই উত্থান-পতন থাকে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটি?

২০২২ সালে প্রচার হওয়া জাকিউল ইসলাম রিপন পরিচালিত নাটক ‘পিনিকেই ঝিনিক’ আমার ক্যারিয়ার পাল্টে দেয়। শুরু থেকেই নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলাম। ওই নাটকে অভিনয় করেছিলাম প্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম ভাইয়ের বিপরীতে। এটি প্রচার হওয়ার পর সবার দৃষ্টি আমার দিকে পড়ে। এর পরই ভালো ভালো গল্প, মেধাবী নির্মাতারা আমাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ শুরু করেন। ক্যারিয়ার নিয়ে তখন আর ভাবতে হয়নি। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আগামীতে কাজ করতে চাই।

দর্শকের কাছ থেকে কোন নাটকগুলোর জন্য বেশি প্রশংসিত হয়েছেন?

গত তিন চার বছরে একের পর এক ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করেছি। এমনও দেখা গেছে যে, শারীরিকভাবে অসুস্থ, তবু শিডিউল সমন্বয় করতে গিয়ে ওই অবস্থার মধ্যেই কাজ করতে হয়েছে। দর্শক যেমন আমার কাজের প্রতি আস্থা রেখেছেন, তেমনিভাবে নির্মাতারাও বিশ^াস রেখেছেন। সবার আস্থা, বিশ্বাস রাখতে চাই সব সময়। এ সময়ের মধ্যে আমার অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ ‘মেথর’, ‘সানগ্লাস ফ্যামিলি’, ‘জামাই বউ চোর’, ‘বউ বেশি বুঝে’ প্রভৃতি।

ইদানীং গল্প বাছাইয়ে খুব সচেতন হয়েছেন মনে হয়?

গল্পের প্রতি আমি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী। এখন মনে হয়, নিজেকে ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে। শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যে কোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে, তাও ভেবে দেখি।

আগামীর পরিকল্পনার কথা জানতে চাই।

প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। এরপর কৃতজ্ঞ আমার বাবা-মায়ের প্রতি। চ্যানেল আই পরিবার, বিশেষত সাগর স্যার, হাসান ভাই, রায়হান খান ভাইসহ নির্মাতা জাকিউল ইসলাম রিপন ভাই এবং মোশাররফ করিম ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা আমার সব সহশিল্পী, পরিচালক, ইউনিটসহ সাংবাদিক ভাই-বোন এবং সর্বোপরি ভক্ত-দর্শকের প্রতি। সব সময় ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করতে চাই।