‘উইম্বলডন জয় সবচেয়ে বিশেষ’

ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৫ জুলাই ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
‘উইম্বলডন জয় সবচেয়ে বিশেষ’

বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর পেয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়নদের। গত শনিবার নারী এককের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইগা সিয়াতেক। পরশু রাতে পুরুষ এককের ট্রফি উঠেছে ইয়ানিক সিনারের হাতে। কয়েক সপ্তাহ আগে যার কাছে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল হেরেছিলেন এবার সেই কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন সিনার। অল ইংল্যান্ড

লন টেনিস ক্লাবের সেন্টার কোর্টে প্রথম সেটে পিছিয়ে থেকেও স্প্যানিশ তরুণকে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন ইতালিয়ান তারকা। টেনিসের মৌলিক প্রতিযোগিতায় এটা সিনারের চতুর্থ ট্রফি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টুর্নামেন্টের ওয়েবসাইটে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। তার বলা কথাগুলোর চৌম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো :

প্রথম উইম্বলডন শিরোপার জন্য আপনাকে অভিনন্দন! এই জয়ের গুরুত্ব আপনার কাছে কেন এত বেশি?

ইয়ানিক সিনার : উইম্বলডন জয় সবচেয়ে বিশেষ। প্রথম শিরোপা যে কোনো পরিস্থিতিতেই ভালো লাগে, কিন্তু আমার কাছে এটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি পারিস থেকে উঠে এসে এই জয় পেয়েছি।

-ফ্রেঞ্চ ওপেন পরবর্তী সময়টা আপনি যেভাবে সামলেছেন, তা নিয়ে আপনি গর্বিত। সেটা একটু বিস্তারিত বলবেন?

সিনার : এটার জন্য আমি গর্ব করি। কারণ এটা সহজ ছিল না। আমি সব সময় নিজেকে সৎ রাখার চেষ্টা করেছি, নিজের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। আমি সব সময় পরিস্থিতি মেনে নিতে চেষ্টা করেছি।

-আপনার কাছে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট ছিল। ফ্রেঞ্চ ওপেনে হারার পর মানসিকভাবে কীভাবে সামলে উঠেছিলেন?

সিনার : কোর্টে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। যদি আপনি পাঁচ সেটের গ্র্যান্ডসøাম ফাইনালে এমনভাবে হেরে যান সেটা দুর্ভাগ্যজনক। বাস্তবতা আমি মেনে নিয়েছিলাম। মানসিকভাবে নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম। তবে কাজটা সহজ ছিল না।

-ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর আপনি কঠোর অনুশীলন করেছেন। আপনার অনুপ্রেরণা কী ছিল?

সিনার : আমি প্রতিটি অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার আত্মবিশ^াস ছিল আমি খুব ভালো খেলতে পারব। সে জন্যই রোলাঁ গারোঁর পর বলেছিলাম, এটা আমাকে নিচে নামানোর সময় নয়। সামনে আরও গ্র্যান্ডসøাম আসছে। আর আমি এখানে ভালো খেলেছি।

-এবারের স্বপ্নযাত্রাটা আবেগঘন বলেছেন আপনি। একটু বিস্তারিত বলবেন?

সিনার : এটা অনেক আবেগঘন ছিল, যদিও আমি কাঁদি না। এটা আবেগঘন। কারণ শুধু আমি আর আমার কাছের মানুষরা জানেন আমরা কোর্টের ভেতরে ও বাইরে অনেক কিছু সহ্য করেছি। এটা মোটেই সহজ ছিল না।

-আপনার কোচ ড্যারেন ক্যাহিল আপনার মানসিক শক্তি নিয়ে অনেক প্রশংসা করেছেন। উইম্বলডনে আপনার এই মনোভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

সিনার : এটা আমার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা ছিল। আমার কোচ সব সময় আমাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। যা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা আমাকে এগিয়ে চলতে সহায়তা করেছে।

-ট্রফি জয়ের পর আপনি প্রিন্সেস অব ওয়েলস এবং রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে দেখা করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সিনার : আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলব। চেষ্টা করেছিলাম স্বাভাবিকভাবে কথা বলার। আমি বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম তারা কি টেনিস খেলে! হা হা হা...

-কোর্টের বাইরেও আলকারাজের সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক রয়েছে...

সিনার : আমরা কোর্টের বাইরে একে অপরের প্রতি সম্মান ও বন্ধুত্ব বজায় রাখি। এটা আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তার বিরুদ্ধে খেলা সব সময়ই কঠিন। আমরা নিজেদের একটা পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করছি। আশা করি ভবিষ্যতে সে এই ট্রফিটা অনেকবার হাতে তুলবে। এখনই সে দুটি (উইম্বলডন) জিতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন:

বিপাকে আলভেস

-চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিগর দিমিত্রভের ইনজুরি আপনার জন্য কিছুটা সৌভাগ্য বয়ে এনেছিল। আপনি কী মনে করেন এবং এটাকে কীভাবে দেখছেন?

সিনার : আমি ভাগ্যবান। এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। তবে আমার দল এবং আমি সব সময় বিশ্বাস করেছিলাম আমি এগিয়ে যাব। পুরো টুর্নামেন্টে আমি নিজেও বিশ্বাস রেখেছি।