কেমন আছেন ফরিদা পারভীন
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন বরেণ্য লালল সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় গত ৫ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিল্পীকে। এরপর শিল্পীকে নেওয়া হয় আইসিইউতেও।
আশার কথা, এখন শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ফরিদা পারভীনকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফরিদা পারভীনের স্বামী বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
তিনি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ফরিদা পারভীনকে কেবিনে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
গাজী আবদুল হাকিম বলেন, ‘এখন ওর (ফরিদা) অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। গতকাল আইসিইউ-তে আমার সঙ্গে ও কথা বলেছে। সবাইকে চিনতেও পারছে। তবে জটিলতা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। সবাই দোয়া করবেন যেন ফরিদা সুস্থ হয়ে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসে।’
বলা দরকার, দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। সম্প্রতি দেশের প্রথিতযশা কিডনি, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগ ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসা-বিষয়ক পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা। লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ক্ল্যাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবেও ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’