এবার দরজা বন্ধ হলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না: নাহিদ ইসলাম

বিজ্ঞাপন

Mobile_Article-01

গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনো বাকী আছে, এখনো তাদের গণজোয়ার রয়েছে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘নির্বাচনী ভাগবাটোয়ারা নয়, দেশ সংস্কারে আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। যদি এবার দরজা বন্ধ হয়, তবে জনগণ আপনাদের আর ক্ষমা করবে না।’

আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহীদ আসিফ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার ১২তম দিনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেশের সংস্কার চেয়েছি, বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি কিন্তু এই সকল জনদাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। তারা পুরাতন বন্দোবস্তকে টিকিয়ে রাখতে রাখতে চায়, পুরাতন রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, চাদাবাজ এবং সন্ত্রাসকে টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, গণঅভ্যুত্থানের পরে এত মানুষের জীবনদানের পরেও তারা যদি মনে করে পুরাতন রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখবে, তাহলে এটা এত সহজ হবেনা। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনও বাকী আছে, এখনও তাদের গণজোয়ার রয়েছে।’

একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তারা ভেবেছিল ২-৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নেবে। যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে তাদেরকে কেনার সক্ষমতা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। তারা বলেছে, দরজা নাকি খোলা আছে। আমরা বলেছি, ৫ আগস্টে দরজা আমরা খুলে দিয়েছিলাম।’

আরও পড়ুন:

রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

৫ আগস্ট পরবর্তী জাতীয় সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টে পর আমরা বলেছিলাম, আসুন জাতীয় সরকার করি, দেশটাকে পূর্ণগঠন করি, সকল বিভাজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলি কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা বলেছিল তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারের কোনো বিষয়ে তাদের সমর্থন পাওয়া যায়নি। আমরা দেশে শত্রু তৈরি করতে চাইনা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পূর্ণগঠন করতে চাই। আমরা এখনও বলছি, নির্বাচনী ভাগবাটোয়ারা নয়, দেশ সংস্কারে আমাদের দরজা এখনও খোলা আছে। যদি এবার দরজা বন্ধ হয়, তবে জনগণ আপনাদের আর ক্ষমা করবেনা।’

সাতক্ষীরার উপকূলীয় মানুষদের উদ্দেশ্যে এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনারা উপকূল এলাকার বাসিন্দা। নানা ঘূর্ণিঝড় ও নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই দেশকে উপকূলে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরার শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অব্যবস্থাপনা, যাতায়াত ব্যবস্থার অবস্থাপনা আমরা জানি। সাতক্ষীরাবাসী এখনও রেললাইনের সুযোগ পায়না, ৫৪ বছর হয়ে গেছে এখনও কেন সাতক্ষীরায় রেল সংযোগ এসে পৌছায়নি।’