বিশেষজ্ঞদের দাবি /
‘বিমান বিধ্বস্তের পেছনে পাইলটের ভূমিকা থাকতে পারে’
গত জুনে ভারতের বিমান এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তদন্তকারী দল। রিপোর্ট দেখে দেশটির একজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলছেন, পাইলটরা ইচ্ছা করেও এই বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটাতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহান রঙ্গনাথ বলেছেন, জ্বালানি বন্ধ করার যে অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে, সেটা ইচ্ছা করেও হতে পারে। এবং সে কারণেও বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে উড়োজাহাজটি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বিমানটি উড্ডয়নের পর ১৮০ নটস গতিতে পৌঁছে গিয়েছিলো এবং এরপরপরই এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি ইঞ্জিনেরই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ 'রান থেকে কাট অফ' পজিশনে চলে যায়। ককপিটে পাইলটদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ডিং, একজন পাইলটকে জিজ্ঞেস করতে শোনা যায় যে তিনি কেন সুইচ বন্ধ করলেন। অন্য পাইলট বলেছেন তিনি এমন কিছু করেননি।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
বিষয়টি নিয়ে ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কোনো পাইলট কি ইচ্ছা করেই জ্বালানি সুইচ বন্ধ করতে পারেন। জবাবে তিনি বলেন,‘অবশ্যই। এটা ম্যানুয়ালিই করতে হয়।স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটা হওয়ার সুযোগ নেই।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সময়ানুযায়ী ৮টা ৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের সময় ‘‘১ নম্বর ইঞ্জিন এর ফুয়েল কাট অফ সুইচ আবার ‘রান’ (চালু) অবস্থায় ফিরে আসে এবং এর ৪ সেকেন্ড পর দুই নম্বর ইঞ্জিনের ফুয়েল কাটঅফ সুইচও ‘কাট অফ থেকে রান’ অবস্থায় ফিরে আসে।’’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
কিন্তু ৮টা ৯ মিনিট ৫ সেকেন্ডে, অর্থাৎ ৯ সেকেন্ডের ব্যবধানে, একজন পাইলট গ্রাউন্ডে থাকা এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের ‘মে ডে’ ‘মে ডে’ ‘মে ডে’ বলে বার্তা দেন।