মিটফোর্ড হত্যা /
‘আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতায়িত করবেন’
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে সোহাগ নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। এর দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। এতে দেখা যায় একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে রাস্তায় ফেলে মাথায় ও বুকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এমনকি মৃত্যুর পর তার মরদেহের ওপর লাফিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায় হামলাকারীদের।
সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই নেটিজেনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ ও শোক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে সর্বস্তরের মানুষ। এ তালিকায় আছেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। এই নির্মম ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন।
এক ফেসবুক পোস্টে নির্মাতা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতায়িত করবেন?’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
আশফাক নিপুনের কথায়, ‘চাঁদাবাজি/ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ/ পার্সেন্টেজ যেই নাম আর কারণই দেওয়া হোক না কেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে যে নৃশংসভাবে হত্যা আর (বুক আর মাথার ওপর বিশাল পাথর ফেলে ফেলে) উলঙ্গ করে রাস্তায় ফেলে মৃতদেহের ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে উল্লাস করা হলো শতশত মানুষের সামনে, এই ভয়াবহ ঘটনা এবং ভিডিও লিটমাস টেস্ট হয়ে থাকল অদূর ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে যারাই ক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্য।’
প্রশ্ন করে নির্মাতা বলেন, ‘আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতায়িত করবেন? নাকি সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়িত করবেন? আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের সেবা করবেন? নাকি সাধারণ মানুষের সেবা করবেন? আপনারা কি “সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে যে দলেরই হোক না কেন” বলে আইন এবং বিচারের শাসন নিশ্চিত করবেন? নাকি ঘটনার পর “অমুক সন্ত্রাসী আমার দলের কেউ না” বলে দায় সারবেন?’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
নিপুন আরও বলেন, ‘আমরা “রোগী মরিবার পরে ডাক্তার সাহেব আসিলেন” দেখতে চাই না আর। এই দেশেরই প্রবল প্রতাপশালী সরকার প্রধান, তার পরিবারসহ লেজ তুলে পালাতে বাধ্য হয়, যখন সাধারণ মানুষ লাল কার্ড দেখায়। মানুষ যেন আবার লাল কার্ড না দেখায়, সেই ভয়টা রাখেন। সেভাবে কাজ করেন। সোহাগ হত্যাকারী গ্রেপ্তারকৃত মহিন আর তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।’
বলা দরকার, নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’