ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ফিলিস্তিনিপন্থি খলিলের
ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী, কলম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের স্নাতক মাহমুদ খলিল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছে। প্রায় তিন মাস কারাবাসের পর গত মাসের শেষদিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। খবর বিবিসির।
খলিলের আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার, অমানুষিক নির্যাতন এবং তাকে অবহেলামূলক নির্যাতন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজের বিশ^বিদ্যালয়ের লবি থেকে খলিলকে আটক করা হয়। লুইজিয়ানার একটি আটককেন্দ্রে তাকে ৩ মাসের বেশি সময় বন্দি রাখা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম এপিকে খলিল বলেন, তিনি আশা করছেন এই মামলার কারণে মানুষ বুঝবে ট্রাম্প প্রশাসন আন্দোলনকারীদের ভয় দেখিয়ে চুপ রাখতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, তারা ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছে। কারণ, তারা মনে করে কেউ তাদের কিছুই করতে পারবে না। জবাবদিহি না থাকলে এসব অন্যায় লাগামহীনভাবে চলতে থাকে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
খলিল জানিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীকে ট্রাম্প চুপ করিয়ে দিতে চান মামলার ক্ষতিপূরণের অর্থ তাদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
উল্লেখ্য, সিরিয়ার দামেস্কে ফিলিস্তিনি পরিবারে জন্ম নেন খলিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠেন তিনি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস