জিপিএ-৫ পেয়েও দুশ্চিন্তায় রাজু ও নাইমের পরিবার
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন রাজু আহাম্মেদ ও নাইম খান। তারা দুই জনেই শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পলাশীকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভালো ফলাফল করার পরেও তাদের পরবর্তী স্বপ্ন পূরণে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার।
এলাকাবাসী জানান, এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর বাবা খুবই গরীব মানুষ। অটোরিকশা চালিয়ে অনেক কষ্টে তাদের সংসার পরিচালনা করার পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন। তাদের ভালো ফলাফলের সাফল্যে মা-বাবা খুশি হলেও দুশ্চিন্তা কাটেনি বরং দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনার জন্য কলেজে ভর্তিসহ লেখাপড়ার অন্যান্য খরচ কিভাবে চালাবেন তা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা।
কৃতি শিক্ষার্থী রাজু ও নাইম বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবা করার স্বপ্ন আছে। জানি না আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না। আমরা গরীব মানুষ, বাবার অটোরিকশা চালানোর আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলে। এ থেকে আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করার খরচ যোগানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।’
উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলের ফলাফল পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমার আশা ও স্বপ্ন আছে ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তোলার। কিন্তু দুশ্চিন্তা হচ্ছে—অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারব কি না।’
একই কথা জানালেন বুরুঙ্গা গ্রামের অটোচালক রুপচাঁন মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে শুনে আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমি গরীব মানুষ অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। ছেলের পরবর্তী লেখাপড়া করার খরচ যোগানো হয়তো আমার পক্ষে হয়ত সম্ভব হবে না। যদি সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে কোনো প্রকার সহযোগিতা পাই, তাহলে আমার জন্য খুব ভালো হতো। ছেলের লেখাপড়ার খরচটা চালিয়ে নিতে পারতাম।’