খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা
খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে (৫০) গুলি করার পর রগ কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে তাকে হত্যা করা হয়।
মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে অবস্থান নেওয়ার পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, আজ নিজ বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব।এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি এসে তাকে গুলি করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার পায়ের রগ কেটে দেয় তারা।
মাহবুবের স্ত্রী বলেন, ‘আমি গুলির শব্দ শুনেছি। আমি চেচিয়েছি। কেউ আসেনি ওকে ধরতে। মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসেছিল সন্ত্রাসীরা। কালো চেক জামা পড়া একজন। যাওয়ার সময় গেটে গুলি করেছে। রাস্তায় গুলি করেছে গালি দিয়ে বলে কে আসবি আয়।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদির ধরে ওকে (মাহবুব) মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছিল। আমি ওকে দুরে যেতে বলেছি অথবা আমাকে কথা বলতে দিতে বলেছি কিন্তু ও বলেছে আমি কারও ক্ষতি করিনি। আমার কেউ ক্ষতি করবে না। আর মরণ থাকলে তো হবে। আমি বলেছি এটা কোনো কথা হয় না। সবার সব থাকবে আমার মেয়েদের কি হবে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, দুপুরে বাসার সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা। এ সময়ে হেলমেট পরা অবস্থায় তিনজন একটি মোটরসাইকেলে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুর্বৃত্তরা তার দুইপায়ের রগ কেটে দেয়।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চারটি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।