সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে একে একে গেল ৪ প্রাণ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৫
শেয়ার :
সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে একে একে গেল ৪ প্রাণ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় চার তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্যাংকে পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে তাদের এই করুণ মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, হরিণছড়া চা বাগানের দুই সহোদর রানা নায়েক (১৭), স্বপন নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)।তারা সবাই হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক পরিবারের সন্তান।

হরিণছড়া চা বাগানের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য অজয় ভৌমিক জানান, বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে অসাবধানতাবশত একটি মোবাইল ফোন পড়ে যায়। প্রথমে রানা নায়েক মোবাইল তুলতে ওই সেফটিক ট্যাংকে নামেন। এতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে নীচে পড়ে যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভাইকে উদ্ধার করতে বড় ভাই স্বপনও নীচে নামলে একই পরিণতি ঘটে।

পরে এ ঘটনায় সেখানে থাকা আরও দুই তরুণ সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। রাতেই তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় আহত রবি বুনার্জী (২০) নামের অপর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সব্যসাচী পাল তমাল জানান, ধারণা করা হচ্ছে, সেফটিক ট্যাংকে সৃষ্ট বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে এই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এদিকে এ মর্মান্তিক ঘটনায় চা বাগান এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে জানা গেছে।