উপকূলে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বন্দরে সতর্ক সংকেত বহাল
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে পটুয়াখালীতে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২০০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
টানা বৃষ্টিতে পৌর শহরের নতুন বাজার, পুরান বাজার, সবুজ বাগ ও তিতাস মোড়সহ বিভিন্ন নিচু স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে আছে জেলা সদরের জুবিলী স্কুল সড়ক,গার্লস স্কুল সড়ক,মহিলা কলেজ সড়ক সহ বিভিন্ন সড়ক। সড়কে অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের গতকাল ও আজকের চলমান পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পৌর শহরের মুসলিমপাড়া, চড়পাড়া এলাকায় দুই দিন রান্না করতে পারেননি অনেক পরিবার।এছাড়া তলিয়ে গেছে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। লোকসানে পড়েছেন মৎস্য চাষীরা।
রাঙ্গাবালী থেকে শাহজাহান হাওলাদার (৭২) জানান,কালভার্ড সঠিকভাবে কাজ না করায় অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর থেকে সেলিম হাওলাদা(৪২),ফোরকান শরীফ(৫৫) জানান, নদীতে পানি ভরপুর থাকায় বৃষ্টির পানি ভাটার সময় পুরোপুরি নামতে পারছে না। ফলে মাঠগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের আমনের বীজতলা পানির নীচে রয়েছে। পানি দ্রুত না নামলে বীজ পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। তীড়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোন সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সকল সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় এসব নদীবন্দর সমূহকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।