ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

বিনোদন প্রতিবেদক
০৯ জুলাই ২০২৫, ১৪:১২
শেয়ার :
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি ও ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন বরেণ্য লালল সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই শিল্পীকে। নেওয়া হয় আইসিইউতেও। আগের চেয়ে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী।

তিনি বলেন, ‘মায়ের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তবে শরীর বেশ দুর্বল। কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসক চেষ্টা করছেন। সবাই মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খবর জানিয়ে উক্ত হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার শিমুল চন্দ্র নাথ বলেন, ‘ফরিদা পারভীন ডায়ালাইসিসের রোগী। সঙ্গে ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশনের সমস্যা আছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। এখনও তিনি বিপদমুক্ত নন। তবে সকালে ফরিদা পারভীন নিজে নিজে তাকিয়েছেন। হাত-পা নাড়াচ্ছেন। আরেকটু উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।’

বলা দরকার, হঠাৎ করেই ৭ জুলাই রাত থেকে ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষোভ জানানো হয়। এমন খবর প্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা। লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ক্ল্যাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবেও ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।