গাজাবাসীকে জোরপূর্বক স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনা /

‘মানবতাবিরোধী অপরাধের নীলনকশা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৬
শেয়ার :
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের নীলনকশা’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গাজার সকল ফিলিস্তিনিকে রাফাহর ধ্বংসাবশেষের উপর একটি শিবিরে জোরপূর্বক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। যাকে আইন বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদরা মানবতাবিরোধী অপরাধের নীলনকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হারেটজ সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে যে, ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন যে তিনি রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষের উপর একটি শিবির স্থাপনের জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাকে তিনি ‘মানবিক নগরী’ বলে অভিহিত করেছেন।

কাৎজ ইসরায়েলি সাংবাদিকদের জন্য এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশের আগে ‘নিরাপত্তা তল্লাশি’ করা হবে এবং একবার ভেতরে প্রবেশ করলে তাদের আর বের হতে দেওয়া হবে না।’

ইসরায়েলি বাহিনী স্থানটির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে এই অঞ্চলে স্থানান্তর করবে, যার বেশিরভাগই বর্তমানে আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত।

গাজার পুরো জনসংখ্যাকে সেখানেই আশ্রয় দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল অভিবাসন পরিকল্পনা, যা ঘটবে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। 

দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা গেছে, বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গাজা ছেড়ে যেতে হবে, যাতে তারা জায়গাটি পরিষ্কার করতে পারে, তখন থেকেই নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা জোরপূর্বক নির্বাসনকে উৎসাহিত করেছেন। এটিকে তারা মার্কিন প্রকল্প হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

ইসরায়েলের একজন শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড বলেন, ‘এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। এটি ইসরায়েলের সামরিক প্রধানের কার্যালয়ের কয়েক ঘন্টা আগে করা দাবিরও সরাসরি বিরোধিতা করে, যেখানে একটি চিঠিতে বলা হয়েছিল যে ফিলিস্তিনিদের কেবল তাদের নিজস্ব সুরক্ষার জন্য গাজার ভেতরে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল।’