ভাই-ভাতিজার ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল চাচার
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের পারিবারিক ও বসতভিটার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাই ও ভাতিজাদের ছুরিকাঘাতে চাচা রাধানাথ (৫৮) নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের রায়পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাধানাথ ওই গ্রামের মৃত কার্ত্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে। তার বড় ভাই নৃপেন চন্দ্র দাস ওরফে খলসা ও তার দুই ছেলে শঙ্খরাজ ঠাকুর ও সত্যন্দ্রনাথের সঙ্গে বসতভিটার ভাগাভাগি ও সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগের দিন নৃপেন চন্দ্র দাস খলসা বসতভিটার সীমানা ঘেঁষে টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করলে রাধানাথ বাধা দেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। খলসার বড় ছেলে শঙ্খরাজ দীর্ঘদিন বগুড়ায় থাকলেও ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বাড়িতে ফিরে আসেন।
ঘটনার দিন সকালে রাধানাথ বাড়ির সামনে ছাগল ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় তার ভাই নৃপেন চন্দ্র দাস খলসা ও তার দুই ছেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাধানাথের স্ত্রী ঝলমলি বলেন, ‘আমার স্বামীকে তার ভাই-ভাতিজারা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে ও পায়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
নিহতের ভাই পোলাদ বলেন, ‘কি থেকে কি হলো কিছুই বুঝতে পারছিনা। যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘রাধানাথের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।