ইসরায়েলি বোমায় প্রাণ গেল সম্প্রতি বিয়ে করা আরেক ফুটবলারের
দিওগো জটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যুতে যখন গোটা ফুটবলবিশ্ব স্তব্ধ, তখন একই আঙিনায় ঘটে গেল আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের ফুটবলার মুহান্নাদ আল–লেলে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জটার মতো সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন মুহান্নাদও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবিও পাওয়া গিয়েছে।
জানা গেছে, ইসরায়েলি বোমা হামলার শিকার হয়ে প্রাণ গেছে মুহান্নাদের। তিনি তখন মধ্য গাজার আল–মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে নিজের বাসায় ছিলেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে শুধু ফুটবল অঙ্গনেরই ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত সোমবার একটি ড্রোন মুহান্নাদের বাসার তৃতীয় তলায় আঘাত হানে। এ আঘাতে তার (মুহান্নাদ) মাথায় মারাত্মকভাবে রক্তক্ষরণ হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।’
আরও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার হ্যাটট্রিকে উড়ে গেছে ব্রাজিল
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনি ক্লাব খাদামাত আল–মাঘাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন মুহান্নাদ। ২০১৬–১৭ মৌসুমে তিনি ফিলিস্তিন প্রিমিয়ার লিগে এই ক্লাবটির নেতৃত্বও দেন। পরে শাবাব জাবালিয়াতে যোগ দিয়ে দুই মৌসুম খেলেন। পরে গাজা স্পোর্টস ক্লাব হয়ে আবারও ফেরেন আল-মাঘাজিতে।
তবে জটার মৃত্যুতে যেমন শোকে সয়লাব ফুটবলপাড়া, ফিলিস্তিনি ফুটবলারদের বেলায় তার ঠিক উল্টো। এমন অভিযোগই করেছেন আবুবকর আবেদ নামে ফিলিস্তিনের এক সাংবাদিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘জোটার মৃত্যুতে আর গোটা ক্রীড়াজগৎ শোকস্তব্ধ। পর্তুগালের এই ফুটবলারের জন্য সকলেই শোকবার্তা জ্ঞাপন করছে। এই দুর্ঘটনাটি অবশ্যই প্রাণঘাতী ভয়ঙ্কর। কিন্তু, গাজায় যে ৪২৫ জন ফুটবলার মারা গেলেন, তাদের নিয়ে একটাও কথা কেউ বলছে না। এখানকার ক্রীড়া পরিকাঠামো একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’