পাটগ্রামে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৩

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১
শেয়ার :
পাটগ্রামে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৩

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ২ জন কর্মীকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি’র সংর্ঘষ ও থানা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

গত বুধবার মধ্যরাতে এ সংর্ঘষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সংর্ঘষে পুলিশসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।

পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মী ও স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ওই উপজেলার অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে বেলাল ও সোহেল নামে বিএনপির ২ জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। রাতেই ওই দুই বিএনপি কর্মীর ১ মাস করে সাজা দেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বিএনপির নেতা-কর্মী থানা ভাংচুর করেন এমন অভিযোগ পুলিশের । পরে মধ্যরাতে আটক ওই ২ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পর্যায়ক্রমে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। মূলত গ্রেপ্তারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরী হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির প্রায় ১৫ জনের মতো আহত হন বলে দাবি বিএনপির । খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

তবে বিএনপির লোকজন বলছেন, অন্যায়ভাবে ২ জন ব্যাক্তিকে পুলিশ আটক করে এবং আদালত বসিয়ে সাজা দেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস। এর ফলে পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লোকজন কেবল প্রতিবাদ করেছেন মাত্র।

এদিকে থানা ভাংচুর, আসামী ছিনতাই ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে হাতীবান্ধা থানায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার দায়েও মামলা হয়েছে। ওইসব ঘটনায় একাধিক মামলায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়।   

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমাদের পুলিশ সদস্যদের আহত করা হয়েছে। আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং দুষ্কৃতিকারীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। সে যে দলেরই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।