সাপ নিয়ে খেলতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু
ঝিনাইদহে সাপ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল মাহাফুজুর রহমান (১৬) নামে এক কিশোরের। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আজ বুধবার সকালে কিশোর মাহাফুজুর রহমানের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত মাহাফুজুর রহমান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান মতির একমাত্র ছেলে।
স্বজনরা জানান, গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাছে একটি তালগাছ থেকে গত সোমবার বিকালে মাহাফুজুর রহমান একটি সাপ ধরে টিফিন কেরিয়ারের বাটিতে আটকে রাখে। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ওই তালগাছের কাছে সাপটি নিয়ে যায়। সেখানে বাটি থেকে বের করে খেলা করতে গেলে তার হাতে ছোবল দেয়। প্রথমে নিজেই বিভিন্ন গাছের পাতা দিয়ে সাপের কামড়ের স্থানে ঘষতে থাকে।
একপর্যায়ে মাহাফুজুর রহমান আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার সঙ্গে থাকা সোহান নামের এক বন্ধু পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতেই তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশী আলমগীর হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কিশোর মাহাফুজুর রহমানের মরদেহটি গ্রামের বাড়িতে আসলে এক রিূদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। তার মা, আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মিঞা বলেন, ‘নিজের ভুলের কারণেই এই মৃত্যু। সাপ কখনো বন্ধু হয়না। তাই সাপ নিয়ে খেলতে নেই। সাপ দেখা মাত্রই মেরে ফেলা উচিত।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাত আরা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সদর হাসপাতালে সাপের কামড়ে অসুস্থ একজন রোগী আসেন। কিন্তু সাপের কামড়ের অনেক সময় পর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে তার চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ওই কিশোরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’
