‘কেউ না বুঝে শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
০২ জুলাই ২০২৫, ১৫:০৪
শেয়ার :
‘কেউ না বুঝে শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে’

‘আজ দেশে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। কেউ না বুঝে শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে। জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে।’

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু  এসব কথা বলেন।

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বর্তমান সরকার জাতীয় নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে স্থানীয় নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে, যা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পনা সফল হবে না।’

 আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বিএনপি নেতা এস কে সাদি, কেন্দ্রীয় ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর সভাপতি কে এম রাকিবুল ইসলাম রিপন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিএনপি নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন ও যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলম সরদার এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন জেলা শাখার সদস্য সচিব পূর্ণিমা মুন্নি দোলা।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিএনপি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহত নিপীড়ন, হামলা-মামলা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ছিল ইতিহাসের বর্বরতম দৃষ্টান্ত। বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার পি আর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়, কিন্তু জনগণ তা মেনে নেবে না।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘৭১-এর চেতনাকে ভুলভাবে ব্যবহার করে জুলাইয়ের গণআন্দোলনের স্পিরিটকে কলুষিত করা যাবে না। বরং এই চেতনাকে ধারণ করে একটি গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা সবাই এক কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘৫ আগস্টের আগে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা যেন অটুট থাকে।’