আশাবাদী আলী রীয়াজ /
‘সবার ঐকমত্যে এ মাসেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব’
সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলতি মাসের মাঝামাঝিতেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী, আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারব, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে একটা জায়গায় যেতে পারব।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের সংলাপের শুরুতে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘দলীয় অবস্থান সবার আছে, আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে আশাবাদী আমরা। প্রতিদিন হয়তো অর্জন করছি না। এক জায়গায় পৌঁছাতে আশাবাদী আমরা। দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কারের ব্যাপারে মানুষ প্রত্যাশা করছে। প্রতিদিনের আলোচনায় না হলেও আমরা এক জায়গায় পৌঁছাতে চাই।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
দেশের স্বার্থে সংস্কার আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন উল্লেখ করে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না, তাই দেশের স্বার্থে আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন। যে অঙ্গীকার নিয়ে আমরা গত জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তার কতটা অর্জিত হয়েছে? আমরা কি শুধু নিজের ও দলের স্বার্থ চাইব, নাকি দেশের স্বার্থও দেখব? আমরা আশা করি বেশিরভাগ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে নিয়ে আসতে পারব।’
কমিশন বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে দ্বিকক্ষীয় সংসদের পক্ষে, উচ্চকক্ষপ্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আসন গঠনের একমত বেশিরভাগ দল। তবে কিছু দল একমত হয়নি।’
এদিন বেলা ১১টায় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি নীরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হয় এ বৈঠক। এতে অংশ নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সংস্কার বাস্তবায়নে জাতীয় সনদ তৈরি করতে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৪৫টি অধিবেশন শেষে আজ থেকে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। এদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে আলোচনা হতে পারে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়েও।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত আছেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।