মন্তব্য রুমিন ফারহানার /
‘নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগের উপকার করেছে সরকার’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার দলটির একটা বিরাট উপকার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, ‘যেদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে সেদিনই আমি বলেছি সরকার আওয়ামী লীগের একটা বিরাট উপকার করল।’
গতকাল সোমবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকে যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হতো। কথার কথা নৌকা মার্কায় যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারত তাহলে আমার প্রথম প্রশ্ন বা আমার যেটা এনালিসিস আওয়ামী লীগ কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিত না।’
‘কারণ’ জানিয়ে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেই এই নির্বাচনে অংশ নিত না, কারণ এই দলটি জানে যে তারা কি বীভৎস অন্যায় বাংলাদেশে করেছে। নট অনলি এই দেড় মাস।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
‘এর আগে ১৫ বছর তারা কি করেছে তারা জানে, এখন পর্যন্ত দলটি সরিও বলে নাই, এখন পর্যন্ত দলটি কোনো অনুশোচনাও দেখায় নাই, নাইদার সরি নর রিমোর্স। সো এই দলটির মধ্যে কোনো রকম কোনো চৈতন্যও নাই’, যোগ করেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু তারা ডেফিনেটলি জানে তা যেটা তারা করেছে বাংলাদেশে মানুষ তাদেরকে গ্রহণ করবে না এবং এই নির্বাচনটিকে এক রকমের একতরফা নির্বাচন তকমা দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। কারণ এমনিও সে জিতবে না। এমনিও সে মাঠে গেলে মানুষ তাকে ভোট দেবে না। সো তার চেয়ে ভালো সে নির্বাচনে না গিয়ে সরকার ফেভারই করল। সরকার তো ফেভারই করল। একদমই তাই।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘একদমই এক্সাক্টলি নাজমুল ভাই যেদিন নিষিদ্ধ হয়েছে সেদিনই আমি বলেছি সরকার আওয়ামী লীগের একটা বিরাট উপকার করল। ঠিক যেমন ৩২ নম্বরের বাড়ি ভেঙে সরকার আওয়ামী লীগকে অনেকখানি মাইনেজ দিয়েছে। কেবল আপনার দেশের মাটি ভাবলে তো হবে না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মাটিতে তো মাইনেজ পেয়েছেই। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলেও সরকার আওয়ামী লীগকে বিরাট একটা মাইনেজ দিয়েছে। সো এই সিদ্ধান্তগুলো একটা মানে নন পলিটিক্যাল গভমেন্ট হলে যা হওয়ার কথা তাই হইছে। তো আবার ধরেন যদি তারা মনে করত যে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। এখন তো সেই সুযোগ কিন্তু আছে।’
আওয়ামী লীগ চাইলে স্বতন্ত্র দিতে পারে। অন্য দলে ঢুকেও প্রার্থী হতে পারে। অন্যদল বাদই দিলাম। স্বতন্ত্রই এলাকায় প্রত্যেকে জানে কে কোন দল করে কে কোন মার্কার পক্ষে আছে। সো আপনি কি মনে করেন, স্বতন্ত্র নির্বাচন করার মতনও তারা সেই সাহসিকতা দেখা তো মানুষ চিনে ব্যক্তিগুলোকে তো মানুষ চিনে ওই পথে কিন্তু আওয়ামী লীগ এমনিও যেত না।
এখন যেটা হলো আওয়ামী লীগকে আরও অনেকখানি মাইনেজ দেওয়া হলো, আওয়ামী লীগকে এই মানে কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দিয়ে। তার মানে দুই দিকেই রক্ষা করা হলো, যারা নিষিদ্ধ চায় মব তৈরি করে তারাও খুশি, আবার আওয়ামীও খুশি’, যোগ করেন রুমিন ফারহানা।