আ. লীগ আমলে বরাদ্দ পাওয়া ১৬ প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল

গোলাম সাত্তার রনি
০১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
আ. লীগ আমলে বরাদ্দ পাওয়া ১৬ প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি বিমানবন্দরে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বরাদ্দ পাওয়া ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করেছে বেবিচক। এসব প্রতিষ্ঠানের ইজারার মেয়াদ গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এসব প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ডাকযোগে ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জায়গা খালি করার জন্য দুপুরে তাদের নোটিশও দেওয়া হয়। অন্যথায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জায়গা নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে সোমবার রাতেই উচ্ছেদ অভিযানে তোড়জোড় শুরু করে বেবিচক।

নবায়নের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী শমী কায়সারের নিয়ন্ত্রিত ‘ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন’ও রয়েছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে ইজারা বাতিল করা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑ এরোস ট্রেডিং, মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মাহবুবা ট্রেডার্স, নাহার কনস্ট্রাকশন, অ্যাভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট, এ ফাইভ রোডওয়ে, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট কার সার্ভিসেস কোং, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, মেসার্স অথৈ এন্টারপ্রাইজ, ওলফ করপোরেশন, আড়িয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস ও ডিপার্টম্যান্ট এস কনসালটিং।

ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শাহ আমানতে ২০১০ বর্গফুট আয়তনের ‘ফ্যালকন এজেন্সি’ ও সৈয়দপুরে ৮০০ বর্গফুট আয়তনের ‘ফ্যালকন এয়ারপোর্ট সার্ভিস টিম’-এর ইজারাও নবায়ন করা হবে না।

বেবিচক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভিনেত্রী শমী কায়সার ও আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল কান্তি রায় প্রভাব খাটিয়ে বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ও দোকানপাট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। শমী কায়সারের ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন ও মৃণালের এক্সিকিউশন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যানারে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছিল। দুজনের সিন্ডিকেট প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিমানবন্দরে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক ৩ বিমানবন্দরের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

সদ্য প্রত্যাহার করে নেওয়া বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গত রবিবার আমাদের সময়কে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বরাদ্দ পাওয়া কিছু প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করে জায়গা খালি করতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। যথাসময়ে জায়গা খালি না করা না হলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে।