অপহরণের শিকার /
পলিথিনে মোড়ানো হাত-পা বাঁধা এসিডদগ্ধ নারীকে উদ্ধার
বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এসিডদগ্ধ এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সকালে বরিশাল সদরের বন্দর থানার তালুকদারহাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরিশাল নগরীর রূপাতলী গ্যাস টারবাইন এলাকার বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী ভোলায় ব্যবসা করেন। ভোলায় যাওয়ার জন্য গতকাল শনিবার বিকেলে বাসা থেকে বেরিয়ে বরিশাল নদী বন্দরে যান। বন্দরে পৌঁছার আগেই ভোলাগামী শেষ লঞ্চটি ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ধরার জন্য চরকাউয়া খেয়া পার হয়ে গাড়িযোগে সন্ধ্যার পরে লাহারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছান তিনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘গৃহবধূর চেষ্টা ছিল বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ওই লঞ্চটি লাহারহাট লঞ্চঘাটে পাবেন এবং তাতে চড়ে তিনি ভোলায় যাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি লাহারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছার আগেই সেখান থেকেও লঞ্চটি ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। শেষে বাসায় ফেরার জন্য লাহারহাট থেকে রূপাতলীর উদ্দেশে রওনা হন। তবে গৃহবধূর বর্ণনা অনুসারে ধারণা করা হচ্ছে, চরকাউয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে তাকে অপহরণ করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘ভুক্তভোগীর শরীরে ফোসকা দেখা গেছে। এসিড মারা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না, তবে অন্য কোনো রাসায়নিকও হতে পারে। যেহেতু ওই নারী খুবই অসুস্থ, তাই তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা বলতে পারছেন না। ডাক্তাররা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তিনি কিছুটা সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত তা উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওই নারীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অজ্ঞাত এক নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তার চিকিৎসা চলছে।